দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ১১৬নং দক্ষিণ-পূর্ব মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। ছাদ ও ওয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়ায় ব্যবহার অযোগ্য ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। জানা যায়, ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চার লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একতলা বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবন নির্মাণের শুরুতেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নি¤œমানের কাজ করার অভিযোগ করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, ২৫ বছর আগে নির্মিত একতলা ভবনের বেহাল দশা। হাঁটু পানি-কাদা ভেঙে বিদ্যালয় প্রবেশ করতেই নাজুক দুটি কক্ষের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৩০-৩৫ শিক্ষার্থী বসা। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে কোমলমতিদের মধ্যে উৎকণ্ঠা অরও বেড়ে যায়। সেখানে ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়ে এবং দরজা-জানালার গ্রিল খসে পড়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা জানান, তিনি ২০১৮ সালের ১১ জুলাইয়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তখন থেকেই বিদ্যালয়ের অবস্থা নাজুক ও জরাজীর্ণ ছিল। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর দীর্ঘ সময়েও নতুন ভবন নির্মাণ বা সংস্কার হয়নি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইউনুচ আলী হাওলাদার জানান, ভবন সংস্কারণ বা বিকল্প পাঠের ব্যবস্থা করার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়। ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা তৈরি করে পাঠানো হলেও কোনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতা নন্দ দাস ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়েছে। বিকল্পভাবে পাঠদান চালু রাখতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
Leave a Reply